Description
কারিপাতা গাছ আমাদের দেশে পরিচিত গাছ হলেও সুগন্ধি গাছ বা মসলা হিসেবে এর ব্যবহার প্রায় নেই বললেই চলে। কারিপাতা শুধু খাবার সুস্বাদু করতেই নয়, এ পাতার কিছু ভেষজগুনও রয়েছে। তাই এই গাছের পাতা তেজপাতার মতো মসলা হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। আর এই গাছ চাষের জন্য আলাদা কোনো জমির প্রয়োজন নেই। বাড়ির আশেপাশে যেসব বাগানের ভেতর ছায়া ফাঁকা জায়গা পড়ে রয়েছে সেসব পতিত জায়গা ব্যবহার করে কারিপাতা উৎপাদন করে বাড়তি আয়ের উৎস্য সৃষ্টি করা যেতে পারে।
ভেষজ চিকিৎসায় কারিপাতা ব্যবহার
কারিপাতা, গাছ, শেকড় সবই ভেষজ গুণসম্পন্ন। গাছের শেককড় অর্শ রোগে বেশ উপকারি। আমাশয় ও ডায়রিয়া সারাতেও কারিপাতা ওস্তাদ। কয়েকটা সবুজ পাতা চিবিয়ে খেলে এটা সেরে যেতে পারে। পাতা সেঁকে ও তা থেকে ক্বাথ তৈরি করে খেলে বমিভাব দূর হয়। শরীরের কোথাও কোনো বিষাক্ত পোকা কামড়ালে কাঁচা কারিপাতা হলে সেখানে লাগালে দ্রুত উপশম হয়। এছাড়াও এর বীজ হতে যে তেল পাওয়া যায় তার গন্ধ অনেকটা নারিকেল তেলের মতো আর স্বাদ মরিচের মতো ঝাঁঝালো।
কারিপাতা চাষে আবাদ পদ্ধতি
বীজ থেকে প্রথমে চারা তৈরি করে নিতে হবে। বর্ষার শুরুতে ২-৩ মিটার পর পর জমিতে চারা লাগাতে হবে। চারা লাগানোর জন্য সবদিকে আধা মিটার অনুমান করে গত তৈরি করে গর্তের মাটির সাথে এক ঝুড়ি গোবর সার মিশিয়ে সপ্তাহ দুয়েক সারমাটি গর্তে ভরে রেখে দিতে হবে।
কারিপাতা চাষে রোপনের সময়
জুন-জুলাই মাস কারিপাতা গাছের চারা রোপনের উপযুক্ত সময়।
কারিপাতা চাষে সার প্রয়োগ
প্রতি বছর জুলাই মাসে একবার গাছপ্রতি ১০০-২০০ গ্রাম ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হবে।
কারিপাতা চাষে সেচ ব্যবস্থা
কারিপাতা গাছে খরার সময় সেচ দিতে হবে।
কারিপাতা চাষে ফসল সংগ্রহ
কারিপাতা গাছের বয়স ১৩-১৫ মাস হলে গাছ থেকে পাতা তোলা যায়। পাতা তোলার সময় কচি পাতা না তুলে গোড়ার দিক থেকে বয়স্ক পাতা তুলে আঁটি বেঁধে বাজারজাত করা যেতে পারে।
Reviews
There are no reviews yet.